শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফাউন্ডেশনের বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত“শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফাউন্ডেশন” এর বিশেষ সাধারণ সভা ও এর সদ্য গঠিত কমিটির পরিচিতি পর্ব এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। গত শনিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উত্তরার শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন ভবনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে নতুন নির্বাচিত সভাপতি “শাস্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন ‘র” চেয়ারম্যান “শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিত টেকনোলজি’র” বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ এর সদস্য ডাঃ মো: আহসানুল কবির ও সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা এ.এম.এম মজিবুর রহমান দিলু সহ সকল সদস্যকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। গত ৩ অক্টোবর এর বিশেষ সাধারণ সভায় এই কমিটি গঠন করা হয়! অনুষ্ঠানে শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি’র বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিল্পী মোস্তাফিজুল হক, মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারবর্গ সহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মুক্তিযোদ্ধাগণ উপস্থিত ছিলেন। সাধারণ সভার সর্বসম্মতিক্রমে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইমামুল কবীর শান্ত’র আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়াসহ ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। তার অবর্তমানে ফাউন্ডেশনের সভাপতির পদ শুন্য হয়ে যাওয়াতে এবং সাধারণ সম্পাদকের অসুস্থতার কারণে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি চাওয়াতে কার্যকারী কমিটি গঠন করা হয়। যা সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয় । সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.এম.এম মজিবুর রহমান দিলু সাহেবের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফাউন্ডেশন’র কোষাধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) নাসির উদ্দিন, বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী লিলি ইসলাম, শহীদ পরিবারের সদস্য নূর হোসেন, রুবি রহমত উল্লাহ, হাফিজুর রহমান বাপ্পী ও আবুল হাশেম । সভায় দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন শাস্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আহসানুল কবির। সম্মানিত সদস্যগণ, শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশনের সদস্যগণ ও শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক শামসুন নাহার । সভাশেষে নতুন কমিটিকে উপস্থিত সুধীজনদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন সঙ্গীত শিল্পী লিলি ইসলাম । শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশনের সদ্য প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইমামুল কবীর শান্ত মনে করতেন আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা , আর শ্রেষ্ঠ সন্তান “মুক্তিযোদ্ধারা”, যারা সেই বিজয় ছিনিয়ে আনতে আত্মত্যাগ করেছেন। ১৯৭১ সালে জাতির পিতার স্বাধীনতার ডাকে উদ্বুদ্ধ হয়ে মাত্র ১৭ বছর বয়সে মোঃ ইমামুল কবীর শান্ত মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন । অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, নয় মাস যুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেষর শত্রু বাহিনীর আত্মসমর্পণের পর বিজয়ের প্রথম প্রহরে ১৭ ডিসেম্বর যখন শত শত মুক্তিযোদ্ধারা বুড়িগঙ্গা নদী পেরিয়ে একযোগে ঢাকায় ফিরছিলেন, সেই ফেরার পথে এক মর্মান্তিক নৌকাডুবিতে তার কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুসহ তাদের গ্রুপের এগারজন সহযোদ্ধার সলিল সমাধি হয় । এই ঘটনা তার মনে নিদারুণ রেখাপাত করে, যা তিনি কখনো ভুলতে পারেননি । তিনি বিদেশের মোহ্ ও বিলাসবহুল জীবন ত্যাগ করে দেশ ও দশের কল্যাণের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন । শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন পূরণে, বন্ধু ও সহযোদ্ধাদের স্মরণে ও প্রজন্মের কাছে তিন সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফাউন্ডেশন । শহীদদের স্মৃতিকে অম্লান করে রাখার জন্য আজিমপুর নতুন কবরস্থানে নির্মাণ করেছেন ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভ’ প্রতি ১৭ই ডিসেম্বরকে “শহীদ মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে পালন করে আসছিলেন।